News
- ৩০ জানুয়ারী, ২০২৪ / ১৯ দেখেছেন
কনৌজ ব্যানার্জী,আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ আজমিরীগঞ্জে বদলপুর ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামের অদূরে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ফসল রক্ষা বাঁধের সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
বাঁধের নীচের মাটি কেটে ওই মাটি দিয়েই চলছে বাঁধ নির্মাণের কাজ। এদিকে কমিটির সদস্য সচিব বলছেন, কমিটিতে থাকলেও স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে করাচ্ছেন কাজ।
অপরদিকে ইউপি সদস্যদের দাবি বাঁধ সংস্কারের কাজ কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিবরাই করছেন।
জেলা পাউবো সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলায় পিআইসি গঠনের মাধ্যমে ৯ টি প্রকল্পে ১২ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। যার প্রস্তাবিত বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৯০ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা। এরই ধারাবাহিকতায়, আজমিরীগঞ্জের বদলপুরের উদয়পুর গ্রামের অদূরে চলছে ৭ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩৮৫ মিটার দীর্ঘ ফসল রক্ষা বাঁধ সংস্কারের কাজ।
আজ সোমবার সরজমিনে ঘটনাস্হলে গিয়ে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে এক্সেভেটর চালক জানায়, অরুণ তালুকদার নামে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য বাঁধের কাজ করার জন্য তাদের নিয়ে এসেছেন। দেখা যাচ্ছে, বাঁধের নীচ থেকে মাটি কেটে ওই মাটি দিয়েই বাঁধ সংস্কারের কাজ করে যাচ্ছেন। এতে করে বাঁধটি আরও দূর্বল হয়ে যাচ্ছে। আগামি বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে আসলে, প্রথম ধাক্কায়ই বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ার আশংখা করছে এলাকার কৃষকরা।
হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের নীতিমালা অনুযায়ী, ৫০ মিটার বা ১৬৭ ফুট দূর থেকে মাটি উত্তোলন করার কথা। এ ছাড়া নভেম্বর মাসের মধ্যেই প্রকল্প নির্ধারণ ও পিআইসি গঠনের কাজ শেষ করে ১৫ ডিসেম্বর থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে।
আগামি ২৮ ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু মাটি আনা হচ্ছে ৮ থেকে ১০ মিটার দূর থেকে। এ ছাড়া অধিকাংশ বাঁধে এখনও কোন কাজই শুরু করা হয়নি। উক্ত বাঁধের পিআইসি প্রকল্পের সভাপতি নরেশ চন্দ্র দাস ও সদস্য সচিব গোপেশ চন্দ্র দাস জানান, আমরা এক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে কাজ করাচ্ছি।
তবে বাঁধটি কত মিটার দীর্ঘ হবে তা জানা নেই। অপরদিকে অরুণ তালুকদার কাজের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, পিআইসি প্রকল্প কমিটির লোকজনই বাঁধ নির্মাণের কাজ করাচ্ছেন।
এদিকে উক্ত বাঁধ সংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এনামুল হক বলেন, এ ব্যাপারে আমি অবগত নই। তাই এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল ভৌমিক বলেন, এমন হবার কথা নয়! বিষয়টি নিয়ে আমি পাউবো’র দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সহিত কথা বলব।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ( পাউবো) হবিগঞ্জ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হোসাইন আহমেদ বলেন, বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। এ ছাড়া আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বাঁধ সংস্কারের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা।
তিনি আরও বলেন, বাঁধের মাটি কেটে বাঁধ সংস্কারের কাজ করার কোন সুযোগ বা নিয়ম নেই। তবে পিআইসি গঠনে অনিয়ম হলে, সরজমিনে গিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি সহ দেখে এ বিষয়ে ব্যবস্হা নেয়া হবে।